র্যাবের অভিযান: সেলিম প্রধানের বাড়িতে প্রায় ১৮ ঘণ্টার এ অভিযানে আটক করা হয়েছে তার দুই সহযোগীকেও

অনলাইন জুয়ার মূল হোতা সেলিম প্রধানের গুলশান ও বনানীর অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও মাদক দ্রব্য। প্রায় ১৮ ঘণ্টার এ অভিযানে আটক করা হয়েছে তার দুই সহযোগীকেও। র্যাবের দাবি, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সেলিম। নিয়মিত টাকা পাঠাতেন লন্ডনে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, মাদক ও কোম্পানি আইনে তিনটি মামলা করা হবে। এছাড়া, গুলশানের অফিস সংযুক্ত বাসা থেকে দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার হওয়ায় সেলিম প্রধানকে ৬ মাসের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আবারও অভিযান। ফের বিপুল পরিমান টাকা ও মাদক উদ্ধার। অনলাইনের জুয়ার মূল হোতা সেলিম প্রধানের দেয়া তথ্যে সোমবার রাতে তার গুলশানের অফিসে অভিযান চালায় র্যাব।
রাতভর অভিযান শেষে উদ্ধার হয় নগদ ২৯ লাখ টাকা, ৭৭ লাখ টাকা সমপরিমান ২৩টি দেশের মুদ্রা এবং ৭ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি ব্যাংকের চেক-সহ বিপুল পরিমান বিদেশি মদ। আটক করা হয় তার দুই সহযোগীকে।
সেলিমের বনানীর অফিসে অভিযানে তার সহযোগী আখতারকে আটক করে র্যাব।
মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এলিট বাহিনীটি জানায়, দেশে বসে কোরিয়ান এক নাগরিকের সহযোগিতায় ‘অনলাইন ক্যাসিনো’ চালাতেন তিনি।
র্যাব জানায়, ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত লন্ডনে টাকা পাঠাতেন সেলিম। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, অবৈধ মাদকসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনলাইনে জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানকে গত সোমবার দুপুরে, থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার সময়, থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে তাকে আটক করে র্যাব।