Sobujbangla.com | দেশের ফুটবলের আরো উন্নয়নে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
News Head
 সারজিস বলেছেন আগামীর বাংলাদেশে দাসত্ব প্রত্যাশা করি না। জি এম কাদেরের বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদও করা হয় রোহিত শার্মার দুই কীর্তি এক শটে বিএসএফ ২২ জনকে পাঠালো চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আরও। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা মহিলা দল। সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের বিরিজ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কা বলের চমক আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দারুণ শুরু,। সিলেটে বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এই দেশ সকলের। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবো,। বাংলা দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী গন অধিকার পরিষদ থেকেই হবে।

দেশের ফুটবলের আরো উন্নয়নে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

  |  ১৯:৪৬, এপ্রিল ০৪, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ফুটবলের আরো উন্নয়নে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, ‘ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। এই খেলার আরো উন্নয়নে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। আমরা প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করছি যাতে করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা সেখানে অনুশীলন করতে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮ এর বিজয়ীদের মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই দেশের ছেলে-মেয়েরা তাদের মানসিকভাবে সুস্থ ও শারীরিকভাবে ফিটনেস ধরে রেখে এবং শৃঙ্খলা অর্জন করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত বিশাল সংখ্যায় টুর্নামেন্ট এত খেলোয়াড় নিয়ে পৃথিবীর আর কোনো দেশ আর কখনও আয়োজন করতে পেরেছে কিনা সন্দেহ। সেজন্য তিনি যারা এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা খেলাধুলায় অত্যন্ত পারদর্শিতা দেখাচ্ছে আগামীতে তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরো সম্মান দেশের জন্য বয়ে আনবে সেটাই আমরা আশাকরি। আর আমাদের দেশে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের যেন আরো উন্নতি হয় আমরা সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি, যে কারণে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় আমরা একটা করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিচ্ছি। ছেলে-মেয়েরা যাতে সবসময় খেলাধুলাটা অনুশীলন করতে পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপটা আমরা নিয়েছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটা তৈরি হয়ে গেছে, আরো হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপসহ যারা অংশগ্রহণ করেছেন সব শিক্ষার্থী-খেলোয়াড় এবং অভিভাবক- সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাই। আজকে একটি দল শিরোপা জিতেছে, আগামীতে হয়তো অন্য কেউ আসবে কিন্তু এই প্রতিযোগিতা সুন্দরভাবে যেন চলতে পারে তার ব্যবস্থাটা নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এমন বড় একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ৬৫ হাজার ৭৯০টি স্কুলের ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জন ছাত্র বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮ তে অংশ নেয়। অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮ তে ৬৫ হাজার ৭০০ স্কুলের ১১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ ছাত্রী অংশ নেয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করেন।
ফাইনালে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাটের তেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের ফাইনালে সিলেট বিভাগের জৈন্তাপুরের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রংপুর বিভাগের নীলফামারীর দক্ষিণ কানাইলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে।
বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচ যথাক্রমে বেলা দেড়টা ও বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট ২০১০ সালে শুরু হয়। অন্যদিকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপ শুরু হয় ২০১১ সালে।
দুই টুর্নামেন্টই যথাক্রমে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং সমাপ্তি ঘটে জাতীয় পর্যায়ে ফাইনালের মাধ্যমে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টুর্নামেন্ট দুটি আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলকে তিন লাখ, রানার্সআপ দলকে দুই লাখ ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে এক লাখ টাকা করে প্রাইজমানি ও ট্রফি দেওয়া হয়। এ সময় টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত সেরাদের হাতেও অর্থ ও ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ