Sobujbangla.com | হোপ একাই হারালেন বাংলাদেশকে।
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

হোপ একাই হারালেন বাংলাদেশকে।

  |  ১৭:১৯, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮

জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই ২৫৬ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। দলীয় ৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওপেনার চন্দ্রপল হেমরাজ। আরেক ওপেনার শেই হোপ একা হাতে শুরুর এই ধাক্কা শুধু সামলাননি, দালকে এনে দিয়েছেন দারুণ জয়। তাঁর অসাধারণ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ক্যারিবীয়রা জিতেছে চার উইকেটে।
আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এই জয়ে সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতা নিয়ে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ পাঁচ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল।
এদিনের ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে যখন বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল, তখন দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন শেই হোপ। ১৪৪ বলে ১৪৬ রানের হার-না-মানা একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে দেন তিনি। যাতে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কার মার রয়েছে।
পেসার মুস্তাফিজুর রাহমান ও রুবেল হোসেন দুটি করে উইকেট নিয়েও প্রতিপক্ষের জয়ের পথে বাধা হতে পারেননি। একটি করে উইকেট পান মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ গড়েছিল ২৫৫ রান। যদিও তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েছিলেন লিটন দাস। পরে দলীয় ১৪ রানে ইমরুল কায়েস ছয় বল খেলে নিজের ঝুলিতে কোনো রান না নিয়েই সাজঘরে ফিরলে শুরুতেই ধাক্কা লাগে বাংলাদেশের ইনিংসে।
অবশ্য শুরুর এই ধাক্কা সামলান মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। তৃতীয় উইকেটে দুজনে ১১১ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান। পরে তামিম ৬৩ বলে ৫০ ও মুশফিক ৮০ বলে ৬২ রান করে আউট হন।
পরে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান পঞ্চম উইকেটে ৬১ রান করলে আশা দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ৩০ রান করে করে সাজঘরে ফেরার পর সৌম্য সরকার (৬) নেমে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। পরে চোটে আক্রান্ত লিটন দাস আবার নেমে ৮ রান করে আউট হন।
আর সাকিব ৬২ বলে ৬৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেললে দলের সংগ্রহটা বড় হয়।
ম্যাচের বাংলাদেশ একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সিরিজের প্রথম ওয়ানডের সব খেলোয়াড়ই দলে রয়েছেন।
তবে এই ম্যাচটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবের জন্য দারুণ এক কীর্তির ম্যাচ। একসঙ্গে ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। জাতীয় দলের সঙ্গে একসঙ্গে শততম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন তাঁরা।
এই পাঁচ খেলোয়াড় এর আগে একসঙ্গে ৬৯টি ওয়ানডে, ২৯টি টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ৪৭টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচটির পর বাংলাদেশ দল চলে যাবে সিলেটে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে ১৪ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এ ছাড়া তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ১৭, ২০ ও ২২ ডিসেম্বর। প্রথম টি-টোয়েন্টি সিলেটে, বাকি দুটি হবে ঢাকায়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ