Sobujbangla.com | রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মুসলিম উম্মাহর সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
News Head
 সারজিস বলেছেন আগামীর বাংলাদেশে দাসত্ব প্রত্যাশা করি না। জি এম কাদেরের বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদও করা হয় রোহিত শার্মার দুই কীর্তি এক শটে বিএসএফ ২২ জনকে পাঠালো চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে আরও। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট জেলা মহিলা দল। সিলেটে কোম্পানীগঞ্জের বিরিজ গর্ত, দুর্ঘটনার শঙ্কা বলের চমক আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দারুণ শুরু,। সিলেটে বিক্ষোভ ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে এই দেশ সকলের। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবো,। বাংলা দেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী গন অধিকার পরিষদ থেকেই হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মুসলিম উম্মাহর সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

  |  ২০:১৫, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপের সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় একথা জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের ভূমিতে ‘গণহত্যার’ শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে। আমার সরকার নৈতিক এবং মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়ে ও জরুরি সহায়তা দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা শুরু থেকেই এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। তবে তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া আমরা পাচ্ছি না।

তিনি আরও বলেন, এই সমস্যা সমাধানে শুধুমাত্র দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কোনও সুফল বয়ে আনবে না। এজন্য অন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন। কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার তার অবস্থানের পরিবর্তন করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পতম সময়ে আমাদের এই সমস্যার সমাধান করা আবশ্যক। আমি গৃহহীন ও নিরাশ রোহিঙ্গাদের জন্য এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে গত সেপ্টেম্বরে ৫ দফা কর্মপরিকল্পনার প্রস্তাব করি। পরিতাপের বিষয় হলো যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনও শুরুই হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের টেকসই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং তাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর প্রচারণায় নেতৃত্ব দিতে আমি মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে সারাবিশ্বে মুসলমানরা কেন নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মুসলমানরা কেন একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যদি কোনও সমস্যা থেকে থাকে, তবে তা দ্বিপাক্ষিক বা আঞ্চলিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।

সৌদি আরবের স্থায়ী মিশন এবং ওআইসি সচিবালয় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ আল ওথেইমীনও বক্তৃতা করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ