আজ ৪ ডিসেম্বর, লক্ষ্মীপুর মুক্ত দিবস। ১৭টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্য দিয়ে, মুক্তিযোদ্ধারা লক্ষ্মীপুরকে হানাদারমুক্ত করে।
আজ ৪ ডিসেম্বর, লক্ষ্মীপুর মুক্ত দিবস। ১৭টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্য দিয়ে, মুক্তিযোদ্ধারা লক্ষ্মীপুরকে হানাদারমুক্ত করে। এছাড়া এদিন শত্রুমুক্ত হয় গাইবান্ধার ফুলছড়ি, জামালপুরের কামালপুর এবং কুমিল্লার দেবিদ্বার। মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াইয়ে, সেদিন পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানী হানাদার ও তাদের দোসররা। হানাদারমুক্ত এলাকাগুলোতে ওড়ানো হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। স্বাধীনতাকামী মানুষ ফেটে পড়ে আনন্দে।
একাত্তরের এই দিনে পাকিস্তানী বাহিনী লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণসহ— কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিবাহিনীর ১৭টি সম্মুখযুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযানে ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার প্রাণপণ লড়াইয়ে হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর।
একাত্তরের এই দিন গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ১১নং সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার রুস্তম আলী খন্দকারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিশাল দল ফুলছড়ির বিভিন্ন পাকিস্তানী সেনা শিবিরে গেরিলা হামলা চালায়। এতে ২৭ পাক সেনা নিহত হলেও শহীদ হন ৫ মুক্তিযোদ্ধা। শত্রুমুক্ত হয় ফুলছড়ি উপজেলা।
এদিন হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি কামালপুর দুর্গের পতন হয় এ দিন । মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর কামালপুর ঘাটি অবরোধ করে। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুলযুদ্ধ। ১০ দিনব্যাপী প্রচন্ড যুদ্ধের পর ১৬২ জন হানাদার সদস্য মিত্র বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পন করে। কামালপুর যুদ্ধে শহীদ হন ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা।
৪ ডিসেম্বর শক্রমুক্ত হয় কুমিল্লার দেবিদ্বারও। ৩ ডিসেম্বর মেজর জেনারেল আরডি বিহারের নেতৃত্বে বৃহত্তর কুমিল্লার দেবিদ্বারসহ বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। সম্মুখযুদ্ধে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।