রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস জাপানের

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের কাছে শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী সমাধান চায় বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় নিযুক্ত নিরাপত্তা পরিষদের ৯ সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই ইস্যুতে জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইয়ো হোরি”র সাথে আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৯ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। ওইটাই ভিত্তি। তার সঙ্গে আমরা কিছুটা সংযোজন করে আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছি। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফিরে যাক কিন্তু সেখানে অনেক সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ চায় শান্তিপূর্ণ সমাধান। এখানে যারা আছেন তাদের সবার আমাদের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে।’
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও ৪টি অস্থায়ী সদস্য দেশ মিশর, জাপান, ইটালি ও সুইডেনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক বসবে।
এর আগে, সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইয়ো হোরি’র সাথে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। দুই ঘণ্টা ব্যাপী এ বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানান সফররত জাপানি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় জাপানকে পাশে পাবার আশা করছে বাংলাদেশ।
হোরি বলেন, ‘রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা সমাধানে আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকবো।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাপানের সহায়তা সবসময় পাবে সেটা তারা পুর্নব্যক্ত করেছেন এবং কফি আনান কমিশন রিপোর্টের বাস্তবায়নের কথাও তারা বলেছেন। আমরা আশাবাদী, এই ধরনের বন্ধনের মধ্যদিয়ে আমরা এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবো। আমরা কি প্রত্যাশা করি জাপানের কাছ থেকে সে জায়গায় আমরা বলেছি, আন্তর্জাতিক ফোরামে যে বিষয়গুলি উঠছে সেখানে জাপানের সহায়তা আশা করছি।’
সংকট সমাধানে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।