রোহিঙ্গাদের মনিটরিংয়ের ড্রোন উড়লো বিএনপির সমাবেশে?।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করছে বিএনপি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হাজারো নেতাকর্মী জড়ো হয়। সমাবেশ চলাকালীন হঠাৎ উড়তে দেখ যায় একাধিক ড্রোন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, বিএনপির সমাবেশে রোহিঙ্গাদের মনিটরিংয়ের জন্য কেনা ড্রোন ওড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং ও দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে হঠাৎ ড্রোন দেখে অনেকের মাঝে সন্দেহ আর আতঙ্ক ভর করে। ড্রোন উড়তে দেখে অনেকেই সমাবেশস্থল ছেড়ে গেছেন। তাদের ধারণা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এগুলো ওড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে নেতাকর্মীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশের ঠিক ওপরে পল্টন পলওয়েল ও চায়না টাউন মার্কেট বরাবর কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এগুলো নির্দিষ্ট স্থানে স্থির হয়ে আছে। তবে এসব ড্রোনে ক্যামেরা রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ অনেকে।
ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, সরকারের কোনো সংস্থা হয়ত আকাশে ড্রোন উড়িয়ে সমাবেশে উপস্থিতি দেখছে। কারণ সাধারণ মানুষের ড্রোন উড়ানোর অনুমতি নেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কয়েকদিন আগে সরকার ইরান থেকে ২১টি ড্রোন আমদানি করেছে। এসব ড্রোন ভাসানচর মনিটরিংয়ের জন্য কেনা হয়েছে। সেই ড্রোন সমাবেশের ওপর ওড়ানো হচ্ছে।
ড্রোন উড়ানোর তীব্র সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, যখন ড্রোনের দিকে আমাদের কর্মীরা তাকাচ্ছিলেন, তখন ড্রোন ওড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের আমি বলেছি, এটা তো বেআইনি। তারা আমাকে জানালেন, পাঁচ পাউন্ডের নিচে ড্রোন চালাতে অনুমতি লাগে না। ড্রোনের নাম শুনলে আমরা খুব ভয় পাই। ড্রোন দিয়ে অন্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন নেতাকে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা দেখি, গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছেন, তাদের ড্রোন দিয়ে কৌশলে হত্যা করা হচ্ছে।
আগামী ২২ আগস্ট থেকে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয় দলটির পক্ষ থেকে।

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 