Sobujbangla.com | নগরীতে পানির জন্য হাহাকার, বিল দ্বিগুণ
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

নগরীতে পানির জন্য হাহাকার, বিল দ্বিগুণ

  |  ২২:৪৩, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১

হঠাৎ করেই পানির বিল বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে নগরজুড়ে। গণশুনানি ছাড়াই একলাফে পানির বিল দ্বিগুণ করাকে অন্যায্য বলছেন নগরবাসী। এনিয়ে প্রতিদিনই সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। সিসিকের কাউন্সিলররাও অংশ নিচ্ছেন এসব কর্মসূচিতে। নগরবাসীর এই ক্ষোভের কারণে বিপাকে পড়েছেন সিসিক মেয়র। নাগরিকদের ক্ষোভ আঁচ করতে পেরে সোমবারও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর সিটি মেয়রের সাথে দেখা করে পানির বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দিয়ে পানির বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় জরুরী সাধারণ সভা ডেকে পানির বিল বৃদ্ধির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কথা বলছেন সিসিক মেয়র। নগরে খাবার পানি সরবরাহ করে থাকে সিটি করপোরেশন। তবে চাহিদামাফিক পানি সরবরাহ করতে পারে না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে নগরের অনেক এলাকায় পানি সঙ্কট লেগেই থাকে। পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের আগেই মূল্য বৃদ্ধির কারণে নাগরিকদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। জানা যায়, বর্তমানে নগরে দৈনিক পানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮ কোটি লিটার। তবে সিটি করপোরেশন প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারে। পানির বিল একলাফে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরের কাজীটুলা এলাকার বাসিন্দা মিসবাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা প্রয়োজন মতো পানি পাই না। বাইরে থেকে পানি কিনে ব্যবহার করতে হয়। তবু মাসে মাসে সিসিককে পানির বিল দিয়ে আসছি। পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলেও হঠাৎ করে পানির বিল দ্বিগুণ করে দিয়েছে সিসিক। করোনার কারণে এমনিতেই মানুষের আয় কমেছে। অপরদিকে জীবনযাপনের ব্যয় বেড়েছে। এ অবস্থায় পানির বিল দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়া অমানবিক। এতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়বে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ