টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ, দ্বীপে আটকা সহস্রাধিক পর্যটক

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া প্রায় এক হাজার পর্যটক অবস্থান করছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার চলাচল শুরু হবে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে সকালে ছিল ১ হাজার ৩০ কিলোমিটার দূরে, এখন আছে ১ হাজার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দূরে, এখন ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৮৮৫ কিলোমিটার, এখন আছে ৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৮৯৫ কিলোমিটার, এখন ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হল।