অসৎ পথে উপার্জনকারীদের ছাড় দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

গত ১০ বছরে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের সব টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার হলে আরও এগিয়ে যেতো দেশ। অব্যবহৃত সেই টাকার খোঁজ করা হচ্ছে। নিউইয়র্কে ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, সবার আয়ের উৎস খতিয়ে দেখবে সরকার। অসৎ পথে উপার্জনকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের হোটেল ম্যারিয়ট মারকুইজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ।
প্রায় ১ ঘন্টার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা, বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনা, বিএনপির রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিজেদের আখের গোছাতে নির্বাচনকে কাজে লাগিয়েছে বিএনপি। তারা নির্বাচন করে নাই, নির্বাচন বাণিজ্য করেছে। ৩০০ সিটে তাদের নমিনেশন পেয়েছে ৬৯২টা। অর্থাৎ একেকটি সিটে ২-৩ জন করে নমিনেশন। একজন করে লন্ডনে বসে বাণিজ্য আর বাকি সব করে বাংলাদেশে বাণিজ্য।
মনোনয়ন বাণিজ্য বহুল আলোচিত ও আশা জাগানিয়া দুর্নীতি বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গেও দীর্ঘ সময় কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একজন অসৎ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পরে একজন সৎ মানুষের জীবনযাত্রা। এতে সমাজেও তৈরি হচ্ছে বৈষম্য। এই বৈষম্যর বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।
দেশের উন্নয়ন আরও বেগবান হত যদি বরাদ্দের সব টাকা ব্যবহার হত, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ার করেন সেই টাকার খোঁজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিচ্ছি, তার প্রতিটি টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যয় হতো তবে বাংলাদেশ আরও অনেক দূর উন্নত হতে পারতো। এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে কারা কোন জায়গায় এই ঘাটতি গুলো করছে।
অনুষ্ঠানে এবারই প্রথা ভেঙ্গে সভাপত্তিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। নিজেদের দ্বন্দের কারণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ কমিটির কারোই জায়গা হয়নি সভা মঞ্চে।