Sobujbangla.com | রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ৪ প্রস্তাব
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ৪ প্রস্তাব

  |  ১৮:৩৯, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯

রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে বলে বিশ্ববাসীকে সাবধান করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে এই বিষয়টি সবাইকে অনুধাবন করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসাথে সংকট সমাধানে তুলে ধরেন ৪ দফা প্রস্তাব।
জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনের ভাষনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরেন কিভাবে বাংলাদেশএগিয়ে যাচ্ছে। তুলে ধরেন, ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও মানব উন্নয়নে অভূতপূর্ব অর্জনের কথা।
শেখ হাসিনা জানান, ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে তার দর্শন ও চিন্তধারার প্রতিফলন ঘটিয়ে আগামী বার জাতিসংঘে এ উৎসব উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটের কোনো সমাধান না হওয়াকে দুঃখজনক বলেন শেখ হাসিনা। তাই এই সংকট সমাধানে দুই বছর আগে ৭২ তম অধিবেশনে তার দেয়া ৫ দফা প্রস্তাবের কিছু অংশ আবারো উপস্থাপন করলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবসন ও আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ও রাজনৈতিক স্বদিচ্ছাপূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে। বৈষম্যমুলক আইন ও রীতি বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উক্ত রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হতে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়নের মাধ্যমে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মুল কারণসমুহ বিবেচনায় আনতে হবে। এবং মানবধিকার লঙ্গন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্দতা নিশ্চিত কতে হবে।
মিয়ানমার পরিবেশ তৈরি না করায় সব ধরণের উদ্যোগ নেয়ার পরও রোহঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভন হয়নি। এই সমস্যাটি এখন আর কক্সবাজারের শরনার্থী শিবিরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিলেন বিষটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার সাথে জড়িত।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ