নারী নিয়ে ফূর্তি, ভিডিওতে ধরা বাঘা বাঘা নেতা

রাজনীতিবিদ ও আমলাদের জিম্মি করতে ব্যবহার করা হয় সুন্দরী নারীদের। একান্ত সময়ের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করা হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রথম সামনে আসে। সুন্দরী নারীসঙ্গের টোপ দিয়ে বিভিন্ন রাজনীতিক এবং আমলাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নেয়া হয়। অনেককে রাজনীতি থেকে অবসর নিতেও বাধ্য করা হয়েছে।
এমন একটি চক্রের (হানিট্র্যাপ) সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় পুলিশ। মধ্যপ্রদেশে ওই সিন্ডিকেটের ৫ নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হেয়েছে একাধিক স্পাই ক্যামেরা, অশ্লীল ভিডিওর পেনড্রাইভ এবং নগদ ১৪ লক্ষ টাকা।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সুন্দরী নারীসঙ্গের হাতছানি এড়াতে না পেরে মধু-ফাঁদে পা দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ ও জাতীয় স্তরের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই বিষয়টি নিয়ে উথালপাথাল শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।
এই ঘটনায় কাদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল তা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সোমবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। কোন দলের নেতা স্পাই ক্যামেরায় ধরা পড়ে থাকতে পারেন, তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
তবে পুলিশের হাতে যে ভিডিও রয়েছে তাতে একাধিক প্রথম সারির বিজেপি নেতা ও আরএসএস-এর কয়েক জন সদস্যকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।