Sobujbangla.com | ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৭টি দেশ কার্বণ নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনবে
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

২০৫০ সালের মধ্যে ৭৭টি দেশ কার্বণ নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনবে

  |  ১৮:৪০, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯

বিশ্বের ৭৭টি দেশ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বণ নিঃসরণ শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে এই অঙ্গীকার করেছে দেশগুলো। সে লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু করবে তারা। আর, শতাধিক ব্যবসায়ী নেতা সবুজ অর্থনীতির প্রতিশ্রতি দিয়েছে।
তরুণ জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, ‘বিশ্বের জলবায়ু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। পুরো বাস্তুসংস্থান ভেঙ্গে পড়েছে।মানুষ মারছে। বিপর্যস্ত পথে মানব জাতি। আর আপনারা শুধু অর্থ, প্রবৃদ্ধি আর উন্নয়নের গালগল্প করছে। এর কোন মানে হয় না।
১৬ বছরের সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের এমন মর্মস্পর্শী ভাষণ কাঁপিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘ।
জলবায়ু সম্মেলনে তাঁর মত করেই জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করেনা। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যর্থ হচ্ছি আমরা। তবে বিশ্বসম্প্রদায় সজাগ আছে। পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দিনব্যপী এই সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৭৭টি দেশ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বণ নিঃসরণ ভারসাম্য পর্যায় অর্থাৎ শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করে। এবং ১২টি দেশ জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জার্মানী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল বলেন, জার্মানি ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী তিনি বছরের জন্য ৫৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি আমরা। প্রযুক্তির উদ্ভাবন, জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় উদ্যগের পেছনে এ অর্থ খরচ হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো বলেন, ‘যেসব দেশে প্যারিস চুক্তির বিরোধী নীতিমালা রয়েছে এমন দেশগুলির সাথে তারা কোনও বাণিজ্য চুক্তি করবে না।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, যুক্তরাজ্য ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তার সামগ্রিক আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নকে দ্বিগুণ করে আজ থেকে একটি বড় অবদান রাখছে।
রাশিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশন ঘোষণা করেছে যে, তারা প্যারিস চুক্তিতে সম্মতি জানাবে।
দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, জলবায় পরিবর্তন ঠেকাতে ইতিবাঁচক সাড়া মিলেছে। তবে, এটা যথেষ্ট নয়।
২০২০ সালের পর নতুন কোন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করার আহ্বান জানান তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ