Sobujbangla.com | বাংলাদেশি শিক্ষক আন্তরিক হতে শিখিয়েছেন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

বাংলাদেশি শিক্ষক আন্তরিক হতে শিখিয়েছেন: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

  |  ২০:৪২, এপ্রিল ১২, ২০১৯

সোজাসাপ্টা কথা বলা বাংলাদেশে নিজের গুরুজীর কাছ থেকে শিখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এফবিসিসিআই আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, যদি আমার কথা ভালো না লাগে তবে সেই দোষ আমার নয়। এই দোষটা আমার বাংলাদেশি অধ্যাপক, গুরুজির। কারণ তিনি আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে খাঁটি, আন্তরিক হতে হয়, কীভাবে সোজাসাপ্টা কথা বলতে হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন ডা. লোটে শেরিং। পরে তিনি বাংলাদেশেই সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।
ছাত্রজীবনে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের কাছ থেকে শেখা নীতি-আর্দশের কথা উল্লেখ করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সেই নীতি অনুসরণ করেন বলেও জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
দু’দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর আহ্বান জানিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, বাণিজ্য বৈষম্য এতো বেশি কেন? শুনেছি বাংলাদেশে ভুটানের রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ ভুটানে রপ্তানি করে মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। দু’দেশের মধ্যে মধ্যে ব্যবসা বাড়ানোর বহু উপায়, অনেক সম্ভাবনা আছে।
তার সরকারের উদার বাণিজ্যনীতির কথা তুলে ধরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্থলবেষ্টিত। তবে আমাদের হৃদয় বন্ধ নয়। ব্যবসার জন্য আমাদের দুয়ার উন্মুক্ত। বাংলাদেশিদের যদি ভুটানিদের কাছের মানুষ মনে হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে আসা উচিত।
লোটে শেরিং বলেন, আমরা যদি সত্যিই ঘনিষ্ঠ হই, মনে হয় ব্যবসাটা বাড়ানো উচিত। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এখন যেটা আছে তা যথেষ্ট নয়।
বক্তব্য শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) একটি যৌথ বিজনেস কাউন্সিল গঠন বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ভুটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ফাব জাম।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টানডি দর্জি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত, ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দু’দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন।
বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ এবং ভুটানে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা থ্রোওয়া তেনজিন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ