ক্ষোভ থেকেই আবিদাকে হত্যা করে তানভির
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানাকে (৩৫) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মসজিদের ইমাম তানভির আলম (৩০)।
শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়লেখার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমারের আদালতে ১৬৪ ধারায় তিনি এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আবিদা হত্যা মামলায় তানভির আলম ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
রিমান্ডের ৪র্থ দিন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেওয়ায় তানভির আলমকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তানভীর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ছিল্লারকান্দি গ্রামের ময়নুল ইসলামের ছেলে। ৪ মাস আগে নিহত আবিদা সুলতানাদের পারিবারিক মসজিদের ইমাম হিসেবে তিনি চাকরি নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তানভির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কিভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ও কি কারণে হত্যা করেছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। ক্ষোভ থেকে একাই হত্যা করেছেন জানিয়ে তানভির জবানবন্দিতে বলেছেন, মসজিদের গাছ কাটা ও বিভিন্ন ইস্যুতে ঘটনার দিন আবিদার সাথে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তখন পানির ফিল্টারের ঢাকনা সামনে ছিল। ঢাকনা দিয়ে সজোরে মাথায় আঘাত করেন তানভির। আঘাতে আবিদার মাথা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান আবিদা। এরপরে আবিদার মুখ ও গলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন।
গত রোববার (২৬ মে) মধ্যরাতে বড়লেখায় ঘরের ভেতর থেকে নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রাতে বড়লেখা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন আবিদার স্বামী মো. শরিফুল ইসলাম বসুনিয়া।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- আবিদা সুলতানার বাবার বাসার ভাড়াটিয়া তানভির আলম (৩৪), তানভিরের ছোট ভাই আফছার আলম (২২), স্ত্রী হালিমা সাদিয়া (২৮) এবং মা নেহার বেগম (৫৫)। তাদের স্থায়ী ঠিকানা সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ছিল্লারকান্দি। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তিন আসামী রিমান্ডে নেয় পুলিশ। প্রধান আসামী তানভির আলমের ১০ দিন এবং তাঁর স্ত্রী সাদিয়া ও মা নেহার বেগমের আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তানভিরের ছোটর ভাই আফছার পলাতক

আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর।
তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত।
শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি,
বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান।
ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী।
জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। 