Sobujbangla.com | সরকারি কর্মচারীদের আরো আন্তরিক হতে বললেন ইনু মেনন
News Head
 বদলাবে প্রশ্নপত্রের ধরন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর। আওয়ামী লীগের কেউই রেহাই পাবে না:চিফ প্রসিকিউটর। তুরস্কের সাথে বৈঠক করলেন এনসিপির নেতারা। জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইইউ। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় দলটি, ইসির চিঠির জবাব দেবে এনসিপি, বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে অনুরোধ আমিরাতে কর্মসংস্থান। ধর্মের ভিত্তিতে জাতির বিভাজন দেখতে চায় না জামায়াতে ইসলামী। জনগণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন।

সরকারি কর্মচারীদের আরো আন্তরিক হতে বললেন ইনু মেনন

  |  ১৯:০৮, এপ্রিল ৩০, ২০১৯

জঙ্গিবাদবিরোধী সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সরকারি কর্মচারীদের আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের নেতা হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দল আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী শান্তি সমাবেশে তারা এ আহ্বান জানান।
এ সময় শপথ নেওয়ার জন্য বিএনপির সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির সংসদ সদস্যদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে কেন্দ্রীয় ১৪ দল দেশব্যাপী শান্তি সমাবেশের ডাক দেয়। আর এই কর্মসূচির প্রথম সমাবেশে জঙ্গিবাদের ভয়াবহ দিক নিজ নিজ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেন উপস্থিত বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা।
এ সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মাঝেমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গণতন্ত্রের ভেতরে বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় গির্জা, মন্দির ও মসজিদ থাকবে। কিন্তু বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক বা জঙ্গি তৎপরতা থাকবে না। এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। ধর্মের মুখোশধারীদের একদম ছাড় দেব না।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন জঙ্গিবাদবিরোধী চেতনায় তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কেউ যদি কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়াতে আসে তাহলে তার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে- এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ চাইলে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও পাওয়া যাবে। প্রশাসনের অভ্যন্তর থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এটাকে মোকাবিলা করা না গেলে জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করা যাবে না।’
১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আছে। তবে এ নিয়ে সন্তুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই।
সমাবেশের সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম জানান, পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে ১৪ দলের আয়োজনে জঙ্গিবাদবিরোধী শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ