দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ গ্রহণকারীরা গণদুশমন: গয়েশ্বর

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে যারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন তারা গণদুশমন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদ। তিনিই প্রথম বিএনপির কোনো এমপি, যিনি একাদশ সংসদে যোগ দিলেন। যদিও এমপি হিসেবে শপথ নেয়ায় নাখোশ, দলের কেন্দ্রীয় কমান্ড এবং ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি।
জাহিদুর রহমানের দাবি, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে সরকারের ওপর চাপ দিতেই তার এই সিদ্ধান্ত।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কে শপথ নিলেন আর কোথায় শপথ নিলেন সেটা বিষয় না। দেশের জনগণ ভোট দিতে পারেন নাই, এটা তো আমার কথা না, এটা দেশের জনগণের কথা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া নেত্রীকে জেলে রেখে কেউ যদি শপথ নেয় তাহলে তারা জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে থাকতে পারে না, তারা হলো গণদুশমন। জনগণই সময় মতো তাদের বিচার করবে। সেটার জন্য তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত- আমরা পার্লামেন্টে যাব না। যে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করবে সে দলের লোক হবে না। এই সহজ কথাটা আপনারা বুঝে নেন, এতে আমরা ক্লান্ত নই, ভীতও নই।
তবে চাপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের জয়ী প্রার্থী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ জানান, জনগণ তাদের সংসদে দেখতে চান। এ অবস্থায় শপথের জন্য দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তারা।
যদিও বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এ নেতা বলছেন, যে সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, সেখানে যোগদান একধরনের বেঈমানী।
তবে সংসদে যাওয়ার পক্ষেই মত দলটির কোনো কোনো নেতার।
নেতারা বলেন, শপথের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যায় হোক, খালেদা জিয়ার মুক্তিই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য।
গুঞ্জন ওঠে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তে, শপথ নিতে পারেন বিএনপির বিজয়ীরাও। তবে সম্প্রতি কুমিল্লা সফরে তা নাকচ করেন বিএনপি মহাসচিব।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিনই, নানা অভিযোগে তা প্রত্যাখান করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। তারপরও ভোটারদের দোহায় দিয়ে স্বল্পদিনের বিরতিতে শপথ নিয়েছেন গণফোরামের বিজয়ী দুই প্রার্থী সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান।